• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

ভারত

আলোচিত রাম মন্দির উদ্বোধন

  • প্রকাশিত ২২ জানুয়ারি ২০২৪

নানা বিতর্ক উপেক্ষা করে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ সোমবার দুপুরের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মন্দিরের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। রামমন্দিরের এই উদ্বোধন ঘিরে অযোধ্যাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। লতা মঙ্গেশকর চকে মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের (এটিএস) সদস্যদের।

অযোধ্যা পুলিশ জানিয়েছে, অনুষ্ঠান ঘিরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিস্তৃত পরিসরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। রামমন্দির প্রতিষ্ঠা ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকারের অন্যতম রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এ প্রতিশ্রুতি পূরণ এ বছর অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

পুলিশের লক্ষ্ণৌ জোনের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) পীযূষ মোর্দিয়া বলেন, সরযূ নদীতে নৌকার মাধ্যমে টহল দেওয়া হচ্ছে। রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত সাত হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট।

অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও লোকসভার বিরোধী নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে এ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। এছাড়া শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিও জানিয়ে দিয়েছেন, ওই অনুষ্ঠানে তারা যাবেন না।

উল্লেখ্য, মোগল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাঁকি ১৫২৮ সালে অযোধ্যায় মসজিদটি তৈরি করেন, যা পরবর্তী সময়ে বাবরি মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। তবে দেশটির হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি, সেখানে ‘রামের মন্দির ভেঙে’ মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবকদের হামলায় মসজিদটি ধ্বংস হয়। এরপর ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ওই জমির মালিকানার রায় মন্দিরের পক্ষেই দেন। সেখানেই গড়ে তোলা হয় আজকের রামমন্দির।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads